শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান!
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মূল হোতা কে এই হিয়ক?

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মূল হোতা কে এই হিয়ক?

?????????????????????????????????????????????????????????

ভিশন বাংলা ডেক্স: হ্যাকারের নাম পার্ক জিন হিয়ক।

যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করছে, পার্ক জিন হিয়ক একটি বড় হ্যাকার চক্রের সঙ্গে কাজ করতো। ২০১৭ সালে ‘ওয়ানাক্রাই’ বলে বিশ্বজুড়ে যে ‘র‍্যানসমওয়ের’ সাইবার হামলা হয়েছিল তার সঙ্গে এই হ্যাকার জড়িত ছিল বলে মনে করা হয়।

২০১৪ সালে সনি কর্পোরেশনের ওপর সাইবার হামলার পেছনেও তারা ছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাইবার হামলার পেছনেও ছিল এই একই চক্র।

কে এই হ্যাকার

পার্ক জিন হিয়ক ছিল একটি হ্যাকার টিমের অংশ। এরা পরিচিত ‘ল্যাজারাস গ্রপ’ নামে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিরক্ষা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লকহীড মার্টিন কর্পোরেশনকে তারা টার্গেট করেছিল। কিন্তু সফল হতে পারে নি।

এর আগে ২০১৪ সালে এরা সনি কর্পোরেশনে একটি বড় সাইবার হামল চালায়। সেখান থেকে তারা অনেক তথ্য চুরি করে। অনেক তথ্য নষ্ট করে ফেলে।

পার্ক জিন হিয়ক ফেসবুকে এবং টুইটার বিভিন্ন বিভিন্ন নামে একাউন্ট খুলে লোকজনের কাছে এমনসব লিংক পাঠাতো যাতে উত্তর কোরিয়ার নানা ম্যালওয়ের থাকতো।

তবে তাদের সবচেয়ে মারাত্মক সাইবার হামলা ছিল ‘ওয়ানাক্রাই র‍্যানসমওয়ের’ দিয়ে। ২০১৬ সালে এই সাইবার হামলার শিকার হয় বিশ্বজুড়ে অনেক দেশ এবং কোম্পানি। ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) এই হামলায় অংশত অচল হয়ে পড়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের এসিস্ট্যান্ট এটর্নি ট্রেসি উইলকিনসন বলেন, এরা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ কিছু সাইবার হামলার জন্য দায়ী। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাইবার ডাকাতির ঘটনাও আছে।

যে চীনা কোম্পানি ‘চুসান এক্সপো’র আড়ালে এই হ্যাকার চক্র কাজ করতো তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কী বলছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপকে একটা বড় অগ্রগতি বলে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, যেহেতু নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এই অর্থ চুরি হয়েছিল, তাই যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশেও সিআইডি এই সাইবার হামলার ঘটনা তদন্ত করছে। তারা সব কিছুই দেখছে। আমরা চাই যারা দোষী, তারা ধরা পড়ুক।

তবে সিআইডির যে কর্মকর্তা এই ঘটনার তদন্ত করছেন, তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতার কথা তারা আগেও শুনেছেন, কিন্তু এ ব্যাপারে নিজেদের তদন্তে নিশ্চিত হওয়ার মতো কিছু পাননি।

সিআইডির স্পেশাল সুপারিনটেন্ডেন্ট মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতা যদি কোন বিদেশি সংস্থা পেয়ে থাকে, তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করবো, তাদের প্রমানগুলো আমরা দেখবো। আমরা এফবিআই এর সঙ্গেও বসবো। বসে আমরা তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি জানান, সামনের সপ্তাহেই ঢাকায় সিআইডি কার্যালয়ে এফবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হওয়ার কথা আছে।

নিজেদের তদন্ত সম্পর্ক তিনি বলেন, এই ঘটনায় যেহেতু অনেক বিদেশি নাগরিক জড়িত, তাই তদন্তে অগ্রগতির জন্য সেসব বিদেশি নাগরিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। এসব দেশের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। তিনি জানান, এই ঘটনায় তারা এ পর্যন্ত ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, ভারত, চীন এবং জাপানি নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com